রিমান্ডে আসামীর আত্নহত্যা; ওসির বিরুদ্ধে মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় রিমান্ডের আসামি মাহফুজুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনায় সেই থানার পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত (গ) অঞ্চলে এ মামলা করেন নিহতের ভাই শাহীনুর আলম।
মামলায় আসামি করা হয়েছে নাচোল থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাচোল থানা পুলিশের এসআই আব্দুল বারিকসহ ৬ পুলিশ সদস্য এবং নাসির উদ্দীন ও জাফর ইকবাল নামে আরও দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
বাদী মামলায় অভিযোগ করেছেন, ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে গ্রেফতার হওয়া নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আবু বাক্কারের ছেলে মাহফুজুর রহমান পুলিশি নির্যাতনে ২৬ জুলাই মারা যান।
এছাড়া চাহিদা মতো ঘুষ না দেয়ার কারণে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মাহফুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম মামলা হিসেবে রেকর্ডের জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আকরামুল ইসলাম।
উলেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে নাচোলের জননী ক্লিনিকে স্কুলছাত্রী নাহিদা খাতুনের (১৪) অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশ করেন মাহফুজুর রহমান।
কিন্তু ভুল চিকিৎসার কারণে নাহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১৯ জুলাই বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাহিদা নাচোল উপজেলার বাইপুর গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নাহিদার মৃত্যুর পর তার বাবা নাচোল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ রাতেই মাহফুজুর রহমানকে আটক করে। ওই মামলায় মাহফুজুর রহমানকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিমান্ডে থাকাকালীন মাহফুজুর রহমান নাচোল থানা হাজতের টয়লেটে ঢুকে দীর্ঘসময় পরও বের না হয়ে আসায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন মাহফুজুর রহমান টয়লেটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।